ভূঞাপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় স্থানীয়রা ধর্ষক মেহেদীকে (১৬) আটক করলেও রাতেই হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়।
এসময় হামলায় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে ধর্ষকের সহযোগীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার খানুরবাড়ি কালা সড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষক মেহেদী উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের ইদ্রিস সরকারের ছেলে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
আটক সহযোগী শেখ রাফি (১৬) উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের গোবিন্দাসী গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে জহুরুলের ছেলে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে ধর্ষক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষক মেহেদীর সাথে ওই স্কুলছাত্রী একই বিদ্যালয়ের একই শ্রেণীতে পড়তো। এই সুযোগে ওই ধর্ষক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়।
এক পর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার নগ্ন ছবি মোবাইলে তুলে রাখে। পরে শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ফেসবুকে ছবি ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে বিষয়টি ছাত্রীর নানী টের পেয়ে ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে ধর্ষক মেহেদী ও তার সহযোগী রাফিককে আটক করে।
পরে ধর্ষক ফোন করে তার সহযোগীদের জানালে ৩০/৪০ লোকজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এসময় হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর মন্ডল আহত হয়। এসময় সহযোগী রাফিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আরো পড়ুন – কিভাবে এতো অস্ত্র এলো এই প্রবাসীর কাছে?
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আহত লুৎফর মন্ডল জানান, ধর্ষক ও তার সহযোগীকে আটক করার পর স্থানীয়রা আমাকে জানালে ঘটনাস্থলে যাই।
পরে ধর্ষকের লোকজন খবর পেয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়; এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ধর্ষকের লোকজন আমার উপর হামলা করে।
ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) ফরিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত চলছে। এবিষয়ে আইনী প্রস্তুতি চলছে। আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা – অলক কুমার