টাঙ্গাইলে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

টাঙ্গাইলে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সখীপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে জাহানারা (২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ভোরে স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জাহানারা উপজেলার চতলবাইদ দক্ষিণপাড়া এলাকার আনিছ মিয়ার স্ত্রী ও গজারিয়া গ্রামের জোয়াহের আলীর মেয়ে।

গৃহবধূর বাবার বাড়ির সদস্যদের দাবি, তাঁকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে স্বামীর দাবি, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

জাহানারার পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় বছর আগে উপজেলার চতলবাইদ গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে আনিছের সঙ্গে জাহানারার বিয়ে হয়।

তাঁদের সংসারে আহসান হাবীব (৪) নামের একটি ছেলেও রয়েছে।

কয়েক মাস ধরে আনিছ বিদেশে যাওয়ার জন্য জাহানারাকে বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা এনে দিতে বলছিলেন; কিন্তু এতে রাজি হয়নি জাহানারা।

এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে খবর আসে জাহানারা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

জাহানারার মা মমতা বেগম জানান, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার(২০ এপ্রিল) ৮টার দিকেও মেয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। তখনো সব ঠিকঠাকই ছিল।

রাত ১টার দিকে খবর পাই মেয়ে মারা গেছে। কয়েক দিন ধরে মেয়েকে টাকার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল জামাই।’

চাচাতো ভাই শাওন আহমেদ জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ওই বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি ঘরের বাইরে বোনের মরদেহ। আমাদের ধারণা, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান,এ নিয়ে থানায় হত্যা বা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।’

স্বামী আনিছ মিয়া জানান, ‘তুচ্ছ ঘটনায় আমার মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে আমার স্ত্রী নিজ ঘরেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’

এ বিষয়ে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম জানান, ‘আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার