মির্জাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
এতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের চালকসহ ৬ যাত্রী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে ও রাতে মির্জাপুর ট্রেন স্টেশন ও রশিদ দেওহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আহত মৈত্রী এক্সপ্রেসের চালক তৌহিদুজ্জামান ঢাকায় লিখিত অভিযোগ দিলে শনিবার ঢাকা ও টাঙ্গাইল থেকে রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা মির্জাপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।
মির্জাপুর স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথরের আঘাতে আহত এক যাত্রী সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ইলিয়াস সরকার।
তিনি জানান, সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি ঢাকার কমলাপুর থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে ওই ট্রেনে উঠেন।
রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মির্জাপুর স্টেশনে পৌঁছার ঠিক আগ মুহুর্তে আচমকা পাথর এসে তার কপালে লেগে রক্ত ঝরতে শুরু করে।
পাথরের আঘাতে তিনিসহ ট্রেনের আরো ৪ জন যাত্রী আহত হন বলে তিনি জানান।
ট্রেনে অবস্থানকারী পাকশী রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিউর রহমান এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এসময় তিনি বলেন, আহতদের ট্রেনেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একইদিন বেলা তিনটার দিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস মির্জাপুর স্টেশন এলাকায় পৌঁছার পর দুর্বৃত্তরা ওই ট্রেনে পাথর ছুড়ে।
এই ঘটনায় ওই ট্রেনের চালক তৌহিদুজ্জামান গুরুতর আহত হন বলে মির্জাপুর স্টেশনের মাস্টার কামরুল হাসান জানান।
তিনি জানান শনিবার তার চোখের অপারেশন হওয়ার কথা।
এদিকে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের খবর পেয়ে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ, টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের এএসআই ফজলুর রহমান ও মির্জাপুর থানা পুলিশ।
তারা মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আলী আজম সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, রওশনারা বেগম, সাবেক কাউন্সিলর সাজুসহ স্থানীয় কয়েকজন তরুন-যুবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার