টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দুই মাদক সরবরাহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলামের আদালতের হাজির করা হলে ধর্ষক রাকিব ও সহযোগী সোহানকে মদ সরবরাহের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় বলে টাঙ্গাইল ডিবি (দক্ষিণ) ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ২০ নভেম্বর সকালে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে একই এলাকার আতিকুল ইসলাম সিকদারের ছেলে রাকিবুল ইসলাম সিকদার (২৪), রফিকুল ইসলাম সিকদারের ছেলে সোহান আহম্মেদ পাশের বেলতৈল গ্রামের জসিম সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে কোমল পানীয় সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে রাকিবুল ধর্ষণ করে। এতে সহযোগিতা করেন সোহান আহম্মেদ, জসিম সিকদার ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম।
ধর্ষকের পরিববার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি নানাভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠে।
পরে সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ধর্ষক রাকিবুল ইসলাম সিকদারসহ চারজনকে আসামী করে মামলা করে।
পরে ধর্ষক রাকিব ও তার সহযোগী সোহানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপর দুই আসামি জসিম ও তার স্ত্রী বিলকিস পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় এজাহার ভূক্ত আসামি চারজন। পরে তদন্তে মদ সরবরাকারী দুই সহযোগীর নাম বেরিয়ে আসে।










