যশোরের মণিরামপুরে কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেট নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগে কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ (৫৫) ও তার সহযোগী কামিনীডাঙ্গা গ্রামের সুকুমার মল্লিককে (৬৫)। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, মণিরামপুর কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একই মাঠে পাশাপাশি অবস্থিত। একই মাঠের এক কোণে ৩০ বছর আগে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। এ শহীদ মিনারে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, স্বাধীনতা দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে আসছেন।
অভিযোগ উঠেছে, গত ১৫ জানুয়ারি কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ শহীদ মিনারটি ভেঙে সেখানে টয়লেট (ওয়াশরুম) নির্মাণের উদ্যোগে নেন। এ ব্যাপারে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাধা দিলেও কোনো কর্ণপাত করেননি তিনি। ফলে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করে।
পরবর্তীতে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করা হয়। নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্নার নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু মোত্তালিব আলম সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
এদিকে বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান বাদী হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও তার সহযোগী সুকুমার মল্লিককে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মনিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।