অলক কুমার : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
আর এতে ইন্ধন যোগাচ্ছে খান পরিবার, এমন অভিযোগ এনে শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেকমত সিকদার।
সাংবাদিক সম্মেলনে সাগরদিঘীর আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুল্লাহকে জামায়াত নেতা বানিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন তিনি; এছাড়াও তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে।
আরো পড়ুন – নিবিড় তদন্তের জন্য শিহাব হত্যা মামলা সিআইডিতে- এসপি
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ –
হেকমত সিকদার অভিযোগ করেন, আমি দু’বার জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।
বর্তমানে বিএনপি-জামাতসহ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনের নাম করে স্থানীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে।
এতে শুধু আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি বিনষ্টই নয়, দলীয় সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে ব্যাহত হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড। ধোকায় পড়ছে এলাকার কিছু নিরীহ জনসাধারণ।
আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : চার আসামির আত্মসমর্পণ, জামিন নামঞ্জুর
আমার বিশ্বাস টাঙ্গাইলের খান পরিবারের ইন্দনে বিএনপি-জামাত সঙ্গবদ্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
আমার উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতা হাবিবুল্লাহ বাহারের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
ঐ বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে; এর পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার সহস্রাধিক নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে আমার পক্ষে পাল্টা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
এরপর একই বিষয় নিয়ে তিন বছর যাবত দফায় দফায় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরো পড়ুন – পর পর দুইদিন দুটি ইঞ্জিন বিকল হওয়া কাকতালীয় ঘটনা- বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী
বারবার মানববন্ধন করায় সাগরদীঘি বাজার ও আশপাশের এলাকার লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেছে।
এছাড়াও স্থানীয় এক সাংবাদিক জোড়দিঘী গ্রামের রাজমোহন বর্মনের স্ত্রী বীনা রানী বর্মন’র কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করলে ঐ সাংবাদিক সংক্ষুদ্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।
যেহেতু বিএনপি-জামাত সরাসরি যুক্ত, এতে আমি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছি না। তারা যেকোন মূহুর্তে আমার জীবন নাশের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার সাংবাদিক নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
এসময় কিছু প্রশ্নের সঠিক ও বাস্তবসম্মত উত্তর দিতে পারেননি। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এক প্রকার তোপের মুখে পড়তে হয় তাকে।
আরো পড়ুন – সোহেল হাজারী কোন অথরিটিতে এমপি? জানতে চান হাইকোর্ট
সাংবাদিকদের শেষ প্রশ্ন –
সংবাদ সম্মেলনে ছেলে আরিফুল সিকদার আপন’সহ পরিবারের ফিরোজ সিকদার আলভী, ইলিয়াস সিকদার, শাহ আলম সিকদার ও যুবলীগ নেতা সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন হেকমত সিকদার।
এসময়, এত জনপ্রিয়তা থাকতেও এলাকার কোন গণ্যমান্য ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে নাই কেন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে হেকমত সিকদার বলেন, আমি আমার নেতা ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লেবুর নির্দেশনায় কাউকে সাথে আনি নাই।