নাগরপুরে সংখ্যালঘু মৎস্য চাষীর মাছ লুট, আদালতে মামলা

নাগরপুরে পুকুর থেকে মাছ লুট

বিশেষ সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক সংখ্যালঘু পরিবারের লিজ নেওয়া পুকুর থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় রুই, কাতলা, পাঙ্গাস সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০ মন মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার দুপুরে (১৪ আগস্ট) ভূক্তভোগী অমর চন্দ্র দাস টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাগরপুর আমলি আদালতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে গত ৯ আগস্ট নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়ায় ৬৪ শতাংশ জায়গায় পুকুর থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যায় আসামীরা।

আসামীরা হলো, টাঙ্গাইল নাগরপুর উপজেলার পাকুুটিয়া গ্রামের আ. রহমান খান এর পুত্র রবিউল ইসলাম বাবু (৩৫), আ. মজিদ মিয়ার পুত্র মো. মাহমুদুল হাসান মুক্তা (৪০), হায়াত আলীর পুত্র মো. বাবুল খান (৫০), ইব্রাহীম খান এর পুত্র মো. মোনায়েম খান (৫৫), কছিম উদ্দিন খান এর পুত্র মো. শহীদ খান (৫২), শহিদ খান এর পুত্র সোহেল খান (২৩), বাবুল খান এর পুত্র ইমরান খান (২৪), মো. সালাম খান এর পুত্র মো. রতন খান (২১), মো. শহিদ খান এর পুত্র মো. শাকিব খান (২০), নূর হোসেন (নূরা) এর পুত্র মো. টেন্টু মিয়া (৩৫) এবং মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া গ্রামের নবদ্বীপ এর পুত্র আরান রাজবংশী (৪২)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে যা জানা যায় –

নাগরপুর উপজেলার ধুবুরিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অমর চন্দ্র দাস নাগরপুরের পাকুটিয়া মৌজায় এস, এ ১ নং খতিয়ানে এস, এ ৩৪৩/৩৪৪ নং দাগের ৬৬ শতাংশ পুকুর নাগরপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিকট হতে তিন বৎসর মেয়াদে ইজারা প্রাপ্ত হন।

এ পুকুরে ১০০ গ্রাম ওজনের ৬ হাজার পাঙ্গাস, পাঁচ মন ২৫ কেজি রুই, কাতলা, সরপুঁটি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছেড়ে তা পরিচর্যা করে আসছিলেন।

এ অবস্থা সম্প্রতি বিবাদীরা পুকুরটি তাদের নামে লিখে দিতে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে গত ১৪ জুলাই ধুবুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কাছে জোরপূর্বক অমর চন্দ্র দাস এর কাছ থেকে একশত টাকার তিনটি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয় আসামীরা।

এরপর ৭ আগস্ট পুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিকুর রহমান’সহ মোট ৪ জনকে আসামী করে প্রথম মামলা দায়ের করেন।

এর পর গত ৯ আগস্ট ভোরে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সহকারে একটি পিকআপ গাড়ী নিয়ে পুকুরের কাছে যায়।

সেখানে পোঁছে জোরপূর্বক পুকুরে জাল ফেলে সব মাছ লুট করে নিয়ে যায়।

এ সময় বাঁধা দিতে গেলে অমর চন্দ্র দাস ও তার লোকদের মারপিট করে। এ ঘটনায় রোববার (১৪ আগস্ট) আদালতে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন অমর চন্দ্র দাস।

ভূক্তভোগীর কথা –

এ ব্যাপারে অমর চন্দ্র দাস জানান, মামলা করার পর থেকেই আসামীরা আমাকে মামলা তুলে নিতে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

সন্ত্রাসী কায়দায় মাছ লুটের ঘটনায় পুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছিদ্দিকুর রহমান প্রধান ইন্দন দাতা বলে জানান তিনি। সম্পাদনা – অলক কুমার