নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে সাব-রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের (ডিআরও) নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছর ২৮ আগস্ট সাব-রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল হক যোগদানের পরপরই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন –
বাটওয়ারা, জমির শ্রেনী ডোবা, পালান, পুকুর অনলাইন সফটওয়্যারে গ্রহন না করায় দলিলগুলো এনালগ (হাতে লিখে) সম্পাদন করতে হয়।
কিন্তু হাতে লেখা দলিল সম্পাদন করতে গেলেই দলিল প্রতি ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় ওই সাব-রেজিস্ট্রারকে; অন্যথায় দলিল রেজিস্ট্রি কাজ সম্পন্ন করেন না তিনি।
এ ছাড়াও পৈত্রিক সুত্রে বিএস রেকর্ড চুড়ান্ত থাকলেও খারিজের বাহানায় সাব-রেজিস্ট্রারের সাথে চুক্তিতে না গেলে দলিল সম্পাদন হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে কোন প্রকার ওয়াকফ্ দলিল তিনি রেজিস্ট্র্রি করেন না।
তবে বন্টন নামা, না-দাবি, ভ্রম সংশোধন, ব্যাংক মর্গেজসহ অন্যান্য দলিল মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে দেদারছে করছে ওই সব দলিল রেজিস্ট্র্রি।
অথচ কোন দলিল লেখক তল্লাশী করতে চাইলে তিনি জমির দাতাকে আনতে হবে বলে শর্ত দিয়ে থাকেন।
এছাড়া তার কাছে পরামর্শ চাইলে লেখকদের শো-কজ করে থাকেন; যদিও দলিল তল্লাশী একটি লেখকের বৈধ অধিকার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ওই সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অবজ্ঞা বা ব্যঙ্গ করার অভিযোগ আনেন। তারা ওই সাব-রেজিস্ট্রারের বদলির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাসাইল দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম মনি, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মতিয়ার রহমান (গাউছ)।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাসাইল সাব-রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সম্পাদনা – অলক কুমার