দল পুনর্গঠন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর–বাসাইল) আসনের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন’ এবং ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণ’-এর অভিযোগ এনে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পাঁচ জন জ্যেষ্ঠ নেতা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন:
-
সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ মাস্টার
-
সহসভাপতি মোঃ আঃ মান্নান
-
গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ
-
৮নং বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ মিয়া
-
সখীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাদল
পদত্যাগপত্রে নেতারা উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় দল পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার পর আহমেদ আযম খান তাঁদের প্রতি অবমাননাকর আচরণ করেছেন। দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও নিবেদিত কর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। এটি দলীয় নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী।
উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ মাস্টার বলেন, “পুনর্গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলায় আমাকে অবমাননাকর আচরণের শিকার হতে হয়েছে।” অন্যান্য চারজনও একই ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
পদত্যাগপত্র ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সখীপুর উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা, ক্ষোভ এবং বিতর্ক লক্ষ্য করা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে এমন গণপদত্যাগ দলের সাংগঠনিক শক্তি ও ঐক্যকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করতে পারে।
পদত্যাগের কারণে সখীপুর উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ কার্যক্রমও প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও এখনও উপজেলা বা জেলা বিএনপি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি, স্থানীয় পর্যায়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের সূচনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।











