খেলার ডেস্ক : টানা তিন ম্যাচে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার আশা তখনই কার্যত ধূসর হয়ে গেছে।
আপাত দৃষ্টিতে টাইগারদের এখন শুধু শেষ দুটি ম্যাচ খেলার আনুষ্ঠানিকতাই বাকি আছে; তবে সুপার-১২ পর্বে গ্রুপ-১ এ চলছে তুমুল লড়াই।
তাতেই আশার সলতে নিভু নিভু প্রদীপ হয়ে জ্বলছে। প্রায় অসম্ভব হলেও সমীকরণের সুঁতোয় ঝুলছে বাংলাদেশের সেমিতে খেলার সম্ভাবনা।
গ্রুপ-১ এ টানা তিন ম্যাচ জিতে শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। তারা একটা পা সেমির চৌকাঠে দিয়ে রেখেছে; সমান সংখ্যক ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ রয়েছে তলানিতে।
দক্ষিণ আফ্রিকা- অস্ট্রেলিয়া ২টি করে, শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১টি করে ম্যাচ জিতেছে।
এই চার দলের কাছাকাছি অবস্থানই বাংলাদেশকে জিইয়ে রেখেছে, পুরোপুরি বাদের খাতায় ফেলে দেয়নি; আবার তিন ম্যাচ জেতা ইংল্যান্ডকেও পূর্ণ নির্ভার হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না।
আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহদের সেমিতে উঠা নির্ভর করছে নিজেদের কঠিন পথ পাড়ি দেয়ার সঙ্গে গ্রুপের অন্যদের রেজাল্টের উপর।
শুধু নিজেদের জয়ে হবে না কার্যসিদ্ধি। চেয়ে থাকতে হবে অন্যদের পানেও।
প্রথমত ইংল্যান্ডকে তাদের বাকি দুটি ম্যাচে জিততে হবে। তারা খেলবে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। মানে ইংল্যান্ডকে পাঁচটি ম্যাচ জিততে হবে।
তখন বাকি চার দলের জয়ের সংখ্যাও সমান হতে পারে। এবং চার দলই সেমিতে দ্বিতীয় দল হওয়ার লড়াইয়ে থাকবে।
এমন অবস্থার অবতারণা হলে তখন বাংলাদেশকে জিততেই হবে নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচ। সেমির লড়াইয়ে শামিল হবে টাইগাররা।
কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হলো, শুধু জয়ই যথেষ্ট হবে না।
মাহমুদউল্লাহদের জিততে হবে বড় ব্যবধানে। বড় উন্নতি আনতে হবে রান রেটে; কারণ তিন ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের রান রেট মাইনাস ১ দশমিক ০৬৯।
দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশাল জয়, ইংল্যান্ডের শতভাগ জয় এবং বাকি চার দলের সমান ৪ পয়েন্ট প্রাপ্তি একটা সুযোগ তৈরি করতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
এত সব যদি-কিন্তু মিলিয়ে ঝুলে আছে টাইগারদের সেমির ভাগ্য। টানা হারের ধকল, সমালোচনার ঝড়ে হতোদ্যম হয়ে পড়া দলটার পক্ষে এমন সমীকরণ পাড়ি দেয়া প্রায় অসম্ভবই বটে।
সূত্র – ইত্তেফাক, সম্পাদনা – অলক কুমার