নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার পাটখাগুরী বিলকিস-মান্নান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেণ্ট ফি বাবদ আড়াইশ’ টাকা এবং ১২ মাসের বেতন আদায় করা হচ্ছে!
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বাসাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানাগেছে, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারী এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।
সরেজমিনে বিদ্যলয়ের অভিভাবক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক পাটখাগুরীর মো. ফারুক খান, বাঐখোলার রাজমিস্ত্রি আলী হোসেন, কৃষক শওকত আলী, সিএনজি চালক শফিক জানান, তাদের সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মেয়েদের কাছ থেকে মাসিক ১০০ টাকা হারে বেতন হিসেবে ১২০০ টাকা এবং অ্যাসাইনমেণ্ট ফি বাবদ আড়াইশ’ টাকা পৃথকভাবে পরিশোধ করেছেন।
এছাড়া বিদ্যালয়ে টাঙানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দুটিতে ধুলা-বালি ও পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকাটিও যথাযথ মর্যাদায় উড়ানো হয়না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে।
নবম শ্রেণির খাদিজা (রোল-৭), মিতুল (রোল-৬), যুথি (রোল-৫), মীম (রোল-৯), বৃষ্টি (রোল-১৩) সহ অনেকেই জানান, মাসিক বেতন ও অ্যাসাইনমেণ্ট ফি পরিশোধ না করায় তাদেরকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
তারা আরও জানান, তাদের বিএসসি শিক্ষক মো. রাসেল মিয়া করোনার মধ্যেও বিদ্যালয়ে প্রাইভেট কোচিং করেছেন।
এখনও প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। ছাত্রীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেন অ্যাসাইনমেণ্ট ফি আদায়ের বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেন।
তিনি জানান, বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ছাত্রীদের কাছ থেকে সামান্য পরিমাণ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
বাসাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাবুল হাসান অ্যাসাইনমেণ্ট ফি আদায়ের একটি লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আহবায়ক শামছুন্নাহার স্বপ্না জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।