নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সোয়া ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
যমুনা নদীর ওপরে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে ডাবল লেনের এই রেললাইন সেতু।
নির্মিত হলে এটি হবে দেশের বৃহত্তম একক রেল সেতু।
সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলাদাভাবে আরেকটি সেতু নির্মাণ, এটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড।
অর্থাৎ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্বের মধ্যে সেতুবন্ধ করতে গেলে আমাদের ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে সেতু সংযোগ করতে হবে।
ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে-এই দুটি সেতু যদি আমরা সম্পৃক্ত করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের গুরুত্ব আরও বাড়বে।
ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়বে, মানুষের যোগাযোগ বাড়বে। আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
দেশের রেলকে আরও অত্যাধুনিক করার আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যমুনা নদীর ওপর নতুন রেলসেতুর কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু করা হবে।
এ ছাড়া সারা দেশে রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু হবে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকসহ প্রায় ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার।
সেতুর উভয়প্রান্তে প্রায় দশমিক শূন্য পাঁচ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, প্রায় ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট অ্যান্ড এবং লুক ও সাইডিংসহ মোট প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক হওয়ায় পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর ক্রসিংজনিত কারণে আগের মতো স্টেশনগুলোতে অপেক্ষা করতে হবে না।
ফলে সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোর রানিং টাইম আনুমানিক ২০ মিনিট কমবে, পরিচালনা ব্যয় কমবে এবং রেলওয়ের আয় বাড়বে। এ সেতুতে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন করা হবে।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে নির্মাণকাজ শেষ হলেই ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার