খাবারে কিছু পরিমাণ গরম মসলা মেশালে যেকোনো খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়। নিরামিষ হোক বা আমিষ, সব রকম খাবারেই এই মসলা স্বাদ বাড়ায়। গরম মসলাতে, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ ও গোলমরিচের মতো উষ্ণ মসলা থাকে, এগুলো শরীরের জন্যও খুব উপকারী।
তবে বর্তমানে বাজারে ভেজাল মসলাও পাওয়া যায়।
যা খেলে উপকারের বদলে, ক্ষতিই বেশি। এ জন্য গরম মসলার গুণমান বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে আরো রাসায়নিক থাকতে পারে। এই মসলার রয়েছে আরো অনেক গুণাগুণ। কী সেই গুণাগুণ, চলুন জেনে নেওয়া যাক— সর্দি-কাশি : আবহাওয়া ঠাণ্ডা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি দেখা যায়। গরম মসলায় লবঙ্গ, গোলমরিচ ও দারুচিনি মিশিয়ে ব্যবহার করলে এ ধরনের রোগ থেকে তাৎক্ষণিক নিরাময় লাভ সম্ভব।
হজমে উন্নতি : শীতে হজমের সমস্যা বেড়ে যায়। খাবারে গরম মসলা যোগ করলে হজমশক্তি ভালো হতে পারে।
দারুচিনি ও অন্যান্য মসলায় উপস্থিত ফাইবার নিয়মিত পেট পরিষ্কারে সহায়তা করে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে : দারুচিনি একটি প্রধান উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গরম মসলায় দারুচিনি থাকে। তাই বলা যেতে পারে গরম মসলা খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ব্যথা ও ফোলা : গরম মসলায় প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে।
তারা প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে।
ডায়াবেটিক রোগী : খাবারে জিরা ও অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। এটি তাদের জন্য একটি অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এজেন্ট।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট : গরম মসলা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ত্বকের সমস্যা দূর করে। গরম মসলার ক্ষতিকর প্রভাব
গরম মসলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে। কিন্তু অন্যদিকে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। বেশি গরম মসলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটি ও পেট জ্বালা হতে পারে।