বীথি আক্তারের ভাই জুয়েল মিয়া জানান, তার ভগ্নিপতী উজ্জ্বল মিয়া স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে। বিজয় দিবসের ছুটিতে পরিজন নিয়ে রোববার গ্রামের বাড়ীতে আসে সে। মাদক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত আসামী উজ্জ্বল মিয়াকে নাগরপুর থানা পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় কাঁচপাই মোড় থেকে গ্রেফতার করে। স্বামীর গ্রেফতারের খবর শুনে স্ত্রী বীথি আক্তার ছেলে বিপ্লবকে বাড়ীতে রেখে ওই রাতে নাগরপুর থানায় স্বামীকে দেখতে আসে। বাড়ী ফিরে ছেলে বিপ্লবকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নেওয়ার পর কোন সন্ধান না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পরদিন সকালে বীথি আক্তার তার স্বামী উজ্জল মিয়াকে মুক্ত করার জন্য টাঙ্গাইল কোর্টে চলে যায়।
এ দিকে দুপুর বারোটার দিকে ধুবড়িয়ার কুষ্টিয়া বিলের মাঠে ছেলে বিল্পবের গলা কাটা মরদেহ পরে থাকার খবর পায় বিথি আক্তার। পরে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত বিল্পবের লাশ তার মামা জুয়েল মিয়া শনাক্ত করে। হত্যার কারণ জানা যায়নি।
আর এই ঘটনাটি ঘটেছে নাগরপুর উপজেলার ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার বীথি আক্তারের স্বামী-সন্তানের সাথে।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, অজ্ঞাতনামা দূর্র্বৃত্তরা সোমবার রাতে বিপ্লবকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ কুষ্টিয়া বিলের পাশে নির্জন মাঠে ফেলে রেখে যায়। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।