বাসাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের বাসাইলে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে জিজান হাসান দীপ্ত (১৮) নামের এক মেধাবী শিক্ষার্থী কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় হামলার ঘটনার মূলহোতা কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান টিকটক শাকিলসহ সকল আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
এসময় কিশোর গ্যাংয়ের ইন্ধনদাতাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয় কর্মসূচি থেকে।
পরে পুলিশ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এরআগে ৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হাসপাতালে জিজান হাসান দীপ্ত’র মৃত্যু হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নিহত জিজান হাসান দীপ্ত’র মা সোহেলী সুলতানা দিপা, নানা দেলোয়ার হোসেন, চাচা ওয়াজেদ মল্লিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস, আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শফিউল আরেফিন খানশূর সুজন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর প্রিন্স মাহমুদ, দীপ্ত’র আত্মীয় কামাল হোসেন প্রমুখ।
বাসাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বলেন, ‘হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।’
উল্লেখ্য –
নিহত জিজান হাসান দীপ্ত গত ২৪ জানুয়ারি বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় তার নানা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে এসে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়।
পরে ৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে দীপ্ত ঢাকার একটি হাসপাতালে ২ ফেব্রুয়ারি মারা যায়।
দীপ্ত সখীপুর উপজেলার চাকদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মল্লিকের ছেলে।
দীপ্ত ঢাকায় বিজিবি পিলখানায় অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
সে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
হামলার ঘটনায় দীপ্তর মা সোহেলী সুলতানা দিপা বাদি হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাসাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা শাকিল আহাম্মেদকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনার মূলহোতা শাকিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাজী রবিউল্লাহ মার্কেটের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।