আদালত প্রতিবেদক : ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ছিনতাই করতে গিয়েই আলম মিয়াকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
কিন্তু এসময় পাশের বাড়ির মানুষ জেগে উঠার শব্দ পেয়ে তারা অটোরিক্সাটি ছিনতাই না করেই পালিয়ে যায়।
এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত আনিসুর রহমান খান (৩২) শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ওই হত্যাকান্ডে জড়িত আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরো পড়ুন – ঘাটাইলে অটোচালককে জবাই হত্যা করে হত্যা
আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমদ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় আনিসুরের জবানবন্দি নেওয়া শেষ হয়।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইসমত আরা তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন জানান, ঘাটাইল উপজেলার সুনটিয়া গ্রামের অটোরিক্সা চালক আলম মিয়াকে (৪৫) সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃহস্পতিবার দুস্কৃতিকারিরা গলা কেটে হত্যা করে।
পরে তার বোন কামরুন্নাহার বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, এই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনিসুর রহমান খান নামক একজনকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়।
আনিসুর সুনটিয়া গ্রামের হারুন খানের ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং হত্যায় তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত শাপল ও দা উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন – প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যাখা চাওয়া হবে- ইউএনও
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোঃ রায়হান (১৯), খায়রুল (১৯), আব্বাস (৪০), হুমায়ন (৪৯) ও মোঃ সজলকে (২৫) শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের সবার বাড়ি ঘাটাইলের সুনটিয়া গ্রামে।
আনিসুর আদালতে জবানবন্দি দিতে সন্মত হন। তাকে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত অপর পাঁচজনকে রোববার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার