নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে রোগীদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ডা. সুধীর চদ্র পাল নামের এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে।
তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্টার হিসেবে কর্মরত।
প্রতি শুক্রবারে টাঙ্গাইল শামছুল হক তরুণ গেট সংলগ্ন “দেশবন্ধু হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার” নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন তিনি।
জানা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. সুধীর চন্দ্র পাল নিজেকে সহকারী অধ্যাপক পরিচয় রোগীদের সাথে প্রতারণা করে চলছে।
তিনি গত একবছর যাবত টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে নিরাময় জেনারেল (প্রা.) হাসপাতালে প্রতি শুক্রবার চেম্বার করে আসছিলেন।
সে ক্লিনিকের সামনে মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুধীর চন্দ্র পাল কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে।
এখানে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলছে।
সরেজমিনে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল শামছুল হক তরুণ গেট সংলগ্ন ওই ক্লিনিকে গেলে দেখা যায় রোগী দেখছে ডা. সুধীর চন্দ্র পাল।
বাহিরে হৃদরোগ, মেডিসিন ও বাতজ্বর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুধীর চন্দ্র পাল, এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য), সিসিডি (বারডেম), এমএসিপি (আমেরিকা), এমডি (কার্ডিওলজি-বিএসেমেমইউ) সহকারী অধ্যাপক (কার্ডিওলজি) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাধিক ডাক্তার জানায়, ডা. সুধীর চন্দ্র পাল কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্টার।
তিনি ডিউটিও ঠিকমত করেন না। হাজিরা দিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. সুধীর চন্দ্র পাল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্টারের কথা স্বীকার করেন।
সহকারী অধ্যাপক নাম ব্যবহার করে প্যাডে প্রেসক্রিপশন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান জানায়, যদি তিনি সহকারী অধ্যাপক লিখে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর চিত্তরঞ্জন দেবনাথ জানান, একজন রেজিস্টার কখনো সহকারী অধ্যাপক লিখতে পারবে না।
তিনি লিখে থাকলে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।