আওয়ামী লীগের ক্ষমা পেলেন কাজী অলিদ ইসলাম

ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত সাধারণ ক্ষমার চিঠি

বাসাইল প্রতিনিধি : ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাময়িক বরখাস্ত কাজী অলিদ ইসলামকে ক্ষমা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এই ক্ষমা করার কথা জানানো হয়েছে।

এবিষয়ে কাজী অলিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি বুধবার চিঠি পেয়েছেন।

আরো পড়ুন – ফারুক ভাই যুদ্ধের সময় কোনদিন বন্দুক ধরে দেখে নাই : কাদের সিদ্দিকী

ক্ষমা ঘোষণা করে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা, তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী সম্পৃক্ততার জন্য ইতিপূর্বে কাজী অলিদ ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগ স্বীকার করে তিনি ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হওয়ার বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাঁকে ক্ষমা করা হয়েছে।

তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বিবেচিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার হওয়া নেতাদের আবেদনের ভিত্তিতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়।

ওই সভার আগে যাঁরা দোষ স্বীকার করে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল।

পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাঁরা দোষ স্বীকার করে আবেদন করবেন, তাঁদেরও যাচাই-বাছাই করে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত হয়।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের ঐক্য ও শক্তি বাড়াতে বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন – প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর নির্দেশ অমান্য, ফসলি জমি কেটে রাস্তা তৈরি

তবে প্রতিটি আবেদন আলাদা আলাদাভাবে মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে দলের একটি কমিটিও রয়েছে।

কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ‘দল আমাকে ক্ষমা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।

আমি দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যেতে চাই। এর জন্য সবার কাছে দোয়া চাইছি। সম্পাদনা – অলক কুমার