নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা মাইক্রোবাস-কার মালিক কল্যাণ সমিতির আগের কমিটি বহাল থাকলো।
মঙ্গলবার সন্ধায় নতুন বাস টার্মিনালে জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথসভায় অবৈধ ভাবে করা নতুন কমিটি বিলুপ্ত করে পূর্বের কমিটিকে বহাল রাখার সিদ্বান্ত হয়।
ফলে সমিতির সভাপতির প্রশান্ত পাল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিপনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটি আগের মতই দায়িত্ব পালন করে যাবে।
সম্প্রতি সাংগঠনিক কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে রাতের আধাঁরে অগণতান্ত্রিক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে টাঙ্গাইল জেলা মাইক্রোবাস-কার মালিক কল্যাণ সমিতির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক আলমগীর।
এ ঘটনায় শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীতে জেলার সকল শ্রমিক সংগঠনের মাঝে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি; জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও গোপালপুর-ভূয়াপুরের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির; শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. বালা মিয়া; সাধারণ সম্পাদক মাহতাব মিয়া; বাস-কোচ-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আহছানুল হক পিটু; সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সরকার; সহ-সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও মোতালেব হোসেন; মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম তুষার; বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ পালসহ জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন; রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন; ওয়ার্কশপ শ্রমিক ইউনিয়ন; টিউবওয়েল শ্রমিক ইউনিয়ন সহ শ্রমিক ফেডারেশনের অর্ন্তভূক্ত বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টিকে সংগঠনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন শ্রমিক ও মালিকরা।
দীর্ঘদিন ধরে গাড়ির ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও তাদের মাঝে ক্ষোভ আর হতাশা দেখা যায়।
এছাড়াও যাদেরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল তাদের কোন গাড়ির মালিকানা নেই।
কয়েকদিনের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েই তারা মালিক ও শ্রমিকদের উপর জুলুম নির্যাতন শুরু করে।
মূল ঘটনা –
১৯৯৭ সালের দিকে টাঙ্গাইল জেলা মাইক্রোবাস-কার মালিক কল্যাণ সমিতি গঠন করা হয়।
সমিতির বর্তমান কার্যালয় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সামনে অবস্থিত। সমিতির একটি পুর্নাঙ্গ কমিটিও রয়েছে।
প্রতিজন মালিকের দেয়া মাসিক মাত্র একশ’ টাকা দিয়ে এ সমিতি পরিচালিত হয়ে আসছে।
এই টাকা দিয়ে সমিতির একটি ঘর নির্মানসহ যাবতীয় আসবাবপত্র ক্রয় এবং নানা খরচ বহন করা হয়।
সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন- যথাক্রমে প্রশান্ত পাল ও রেজাউল করিম রিপন।
এ অবস্থায় সম্প্রতি সমিতির কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীরের প্রিয়ভাজন হাফিজুর রহমান মাসুদকে সভাপতি ও সোহেল রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে নাম ঘোষনা করা হয়।
টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর এ দুজনের নাম ঘোষনা করেন।
এ সময় বর্তমান মালিক সমিতির কেউ উপস্থিত ছিলেননা বলে জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এছাড়াও সমিতির সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে টাঙ্গাইল জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং টাঙ্গাইল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোন প্রতিনিধি বা ইউনিয়নের মাইক্রোবাস শ্রমিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও উপস্থিত ছিলেননা।
কাউকে না জানিয়ে রাঁতের আধাঁরে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্টদের মাঝে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার