ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) আন্তর্জাতিক বিষয়ক অফিসের (ওআইএ) আয়োজনে ‘উচ্চশিক্ষা এবং কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষার সুযোগ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভার এই পরামর্শ দেন তারা।
রোববার অনুষ্ঠিত এ সভায় ইউএপির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অ্যাম্বাসেডররাও অংশ নেন। তারা শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন করে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেন।
ওই সভায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সাইফ সালাহউদ্দিন, যুক্তরাজ্যের লিডস ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক জিয়া ওদুদ, পিএফইসি গ্লোবাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারিহা বেগম এবং ইএমকে ইউএসসের শিক্ষা উপদেষ্টা রাজউন সিদ্দিকী তুহিন অংশ নেন।
এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে সাইফ সালাহউদ্দিন বলেন, “কোভিড-১৯ এর প্রভাবে গোটা বিশ্বই এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, আপনি যদি আপনার গবেষকের কাছ থেকে কোনো বৃত্তির সুযোগ পান সেটা কম হোক আর বেশি, আপনার কাজ হবে শর্ত ছাড়াই তা গ্রহণ করা। আমরা আশা করি, এই মহামারীটি শিগগিরই চলে যাবে, যা কেবল একটি বা দুটি সেমিস্টারে প্রভাব ফেলতে পারে।”
জিয়া ওদুদ বলেন, “কোভিড -১৯-এর প্রভাবে যুক্তরাজ্যে বৃত্তির সুযোগ কমবে। এটা শুধু মহামারীর প্রভাবে নয়, ব্রেক্সিট ইস্যুও ভূমিকা রাখবে। তবে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অন্যান্য দেশের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করার উদ্যোগ নিতে পারে, যা বৃত্তির সামান্য অংশ পেতে সহায়তা করবে।”
সভায় শিক্ষা পরামর্শদাতারা আবেদনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া, ভর্তির প্রয়োজনীয়তা এবং ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদির বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন। আলোচনাটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন ওআইএ এর পরিচালক নেহরিন মাজেদ। এতে সমাপনী বক্তব্য দেন ইউএপির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম