ভূঞাপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নারী শিক্ষার্থীদের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পৌর শহরের ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে চাঁদা না দেয়ায় শিল্পপতির বাসায় হামলা
ইভটিজিংকারীদের বিচারের দাবিতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদের বদলির প্রত্যাহারের দাবিতে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
পরে সেখান থেকে কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যাওয়ার সময় পরিবহন শ্রমিকরা নারী শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করে।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে গেলে পৌর শহরের ফসলান্দি এলাকার পরিবহন শ্রমিক জিয়া, শফিকুল, আলীম, খলিল ও ইউসুফের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত ও মারধর করে।
এতে ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে জিয়াসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সড়কে বসে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে।
ইভটিজিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের উপজেলার ইউএনও’র প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি ছিল।
সেই কর্মসূচি শেষ করে চলে যাওয়ার সময় ট্রাক শ্রমিক নেতা জিয়া ও তার সহযোগিতা অশালীন মন্তব্য করে।
পরে আমার সহকর্মীরা তাদের মধ্যে একজনকে আটক করলে পরিবহন শ্রমিকরা এসে হামলা চালায়।
এসময় ৫-৬ জন আহত হন। তারা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।
এদিকে, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ ও ভূঞাপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল সদস্যরা আসে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাদের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় জন্য আশ্বাস প্রদান করেন।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ থেকে সরে যায়।
এই ঘটনার ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-শক্ষিকারা আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে যান।
আরো পড়ুন – আহমেদ আজম একটি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। দাবি জেলা বিএনপি’র
পরে বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করেন।
প্রশাসনের বক্তব্য –
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেয়া হলে তারা অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে সড়ক ছেড়ে দেয়।
শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।