জাতিসংঘের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির জনগণের ওপর আরও কঠোর দমননীতি চালু করেছেন। বিদেশি নাটক-সিনেমা দেখা বা শেয়ার করার মতো কর্মকাণ্ডের জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত কার্যকর করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর শুক্রবার জানিয়েছে, কিমের শাসনামলে প্রযুক্তি-নির্ভর রাষ্ট্রীয় নজরদারি ও দমননীতি আরও তীব্র হয়েছে। গত সাত দশক ধরে দেশটি একদম ক্ষমতায় শাসিত হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে ভয়, ভোগান্তি এবং দমনকে সহ্য করতে বাধ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আজকের পৃথিবীতে কোনো জনগোষ্ঠী এত সীমাবদ্ধতার মধ্যে নেই।”
একাধিক পালিয়ে আসা নাগরিক জানিয়েছেন, দমননীতি মানুষের চোখ ও কান বন্ধ করার মতো কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করছে। জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়া মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রধান জেমস হিনান জানান, কোভিডের পর সাধারণ ও রাজনৈতিক অপরাধ উভয়ের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কে-ড্রামা ছড়ানোর অপরাধে অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে নাগরিকদের জীবন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শিশুদেরও কঠোর শ্রমে নিযুক্ত করা হচ্ছে, যেখানে রয়েছে কয়লাখনি ও নির্মাণ ক্ষেত্রের ‘শক ব্রিগেড’।
নতুন প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের পর থেকে সরকারি নতুন আইন, নীতি ও প্রক্রিয়ার প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা দমননীতির জন্য আইনি ভিত্তি প্রদান করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক মন্তব্য করেছেন, “ডিপিআর কোরিয়া বর্তমান গতিপথে এগোলে জনগণ আরও বেশি ভোগান্তি, নির্মম দমননীতি ও ভয়ের মধ্যে থাকবে।” এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার জেনেভা মিশন এবং লন্ডন দূতাবাস এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।