বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একমাত্র কার্যকর উপায় হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি বলেন, যতই প্রশাসনিক সংস্কার আনা হোক বা কৌশলগত উদ্যোগ নেওয়া হোক, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ফিরে আসবে না।
গতকাল (৯ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। আলোচনাসভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী এবং স্বাধীনতাকামী। তারা বারবার সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হোঁচট খেয়েছে। তবুও তারা আবার দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব কিছু ধ্বংস করেছে। বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন প্রক্রিয়া, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা—সবই তছনছ হয়েছে।
এছাড়া বিএনপি মহাসচিব নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছিলেন, ‘এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিলে ধানের শীষ প্রতীক বাতিল করতে হবে’। মির্জা ফখরুল বলেছেন, “ভাই, আমরা তোমাদের মার্কা দেওয়ার ব্যাপারে বাধা দেইনি। কোন মার্কা দেওয়া হবে, তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। ধানের শীষ প্রতীক অপ্রতিরোধ্য। সারা দেশে ধানের শীষের স্লোগান উঠেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, কিছু মানুষ জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের দাবি করেন, অথচ গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছে বিএনপি।