নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কাদের সিদ্দিকী ইতিহাসের গর্বিত সন্তান; মুক্তিযুদ্ধের মহামানব, তার বীরত্বগাঁথা ইতিহাস বিরল।
যুদ্ধ শেষে বিজয়ী হয়ে তিনি এক লাখ চার হাজার অস্ত্র বঙ্গবন্ধুর কাছে জমা দিয়েছিলেন। এটি একটি বিষ্ময়।
বাংলাদেশ সৃষ্টিতে কাদেরিয়া বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা রয়েছে।
আরো পড়ুন – দেলদুয়ারে এসিল্যান্ডের উপর হামলা, আহত ২
কাদেরিয়া বাহিনীর যোদ্ধারা আমার চেয়েও সাহসী ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ মিনারে আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র জমা দেয়ার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সম্পর্কে যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা আমার জন্য বিব্রতকর।
আমরা এই অনুষ্ঠানটিকে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দেখতে চাই।
সম্পর্কের কোন অবনতি থাকলে তা জাতীয়ভাবে নিতে চাই না। জাতীয়ভাবে আমরা মনে করি এটি একটি ঐতিহাসিক দিন।
তিনি আরও বলেন, কাদেরিয়া বাহিনীর যোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র লুট করে মুক্তিযোদ্ধাদের সরবরাহ করেছে; সেই অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করেছে মুক্তিযোদ্ধারা।
এদিকে, অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাকে এই অনুষ্ঠানে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
তিনি কাদের সিদ্দিকীকে বঙ্গবন্ধুর স্বার্থক আদর্শিক পুত্র অবহিত করে বলেন, আসুন আমরাও আপনাকে নিয়ে পথ চলতে চাই।
আরো পড়ুন – প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর নির্দেশ অমান্য, ফসলি জমি কেটে রাস্তা তৈরি
২৪ সালে যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচনে এক বৃত্তে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানীরা।
স্বার্থক পিতার স্বার্থক উত্তরসূরী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়বো।
কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদান উদযাপন কমিটির আহবায়ক এ এম মোহাম্মদ এনায়েত করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেকমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বীরমুক্তিযোদ্ধা কবি বুলবুল খান মাহবুুব, কবি আল মুজাহিদী, আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম চাকলাদার, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতীক প্রমুখ। সম্পাদনা – অলক কুমার