দেশের কারাগারগুলোতে ভোটারদের আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিংয়ে নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। কারাবন্দিদের আগ্রহ ও জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার ওপরে নির্ভর করছে এবার কেমন সাড়া মিলবে।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একদিনে করার কথা রয়েছে। এরইমধ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।
নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ভোট বিডি নিবন্ধন অ্যাপ চালুর পর প্রশিক্ষিত লোকবল দিয়ে ইচ্ছুকদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে বলে জানান সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ।
বর্তমানে দেশের ৭৫টি কারাগারে প্রায় ৮০ হাজারের মতো আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি রয়েছে। নিয়মিত আসা-যাওয়ায় এ সংখ্যা কমবেশি হতে পারে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী, ভোটে নিয়োজিত ব্যক্তি ও কারাগারে থাকা ব্যক্তিরা ভোট দিতে পারবেন পোস্টাল ব্যালটে।
আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই)’ প্রকল্পের প্রকল্পের টিম লিডার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালীম আহমাদ খান বলেন, জেলখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো সমন্বয় হয়ে গেছে। দেশে সব জেলখানায় আমাদের টিম যাবে, ওনাদের টিমও থাকবে। সমন্বয় করে কাজ চলবে, জেলখানায় একটা বুথ করা হবে। সেখানে এনে স্ব স্ব জেলের কয়েদিরা তাদের নিবন্ধন করবেন।
প্রতীক বরাদ্দের কাছাকাছি সময়ে নিবন্ধিতদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পৌঁছে যাবে বলে জানান তিনি।
এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনের পোস্টাল ব্যালটে ভোটিং সংক্রান্ত নানা সভায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে। প্রশিক্ষণের সেই লোকবল আমাদের প্রস্তুত। আর তাছাড়া আমাদের আইটি বেজ কিছু লোকজন এমনিতে প্রতিটা কারাগারে কম বেশি দু-একজন করে আছে। ওইদিক থেকে বিবেচনা করলে প্রশিক্ষণ পেলে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টা আমরা ওভারকাম করতে পারবো।
বন্দিদের মধ্যে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে তা দেখার বিষয় বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, আগ্রহের বিষয় ছাড়াও কারাবান্দিদের অনেকের এনআইডি রয়েছে কি না তাও দেখার বিষয়। সার্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেবেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কারাবন্দিরা কতটুকু ইচ্ছুক হবে, ভোট দিতে একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ; অনেক বন্দি আছে তাদের এনআইডি নেই। অনেকের এনআইডি সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। পুরোনো বন্দি যারা আছে দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে আছে, তাদের অনেকের এনআইডি হয়ত পাওয়া যাবে না; যারা সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আছে ১০ বছর ১৫ বছর আগে।
সারাদেশে মোট ৭৫টি কারাগার রয়েছে, এই মুহূ্তে প্রায় ৮০ হাজার কারাবন্দি রয়েছে। ইসির নির্দেশনা মতো কারাগারের ভেতরে রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ে ও পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হবে।
গণভোটে হ্যাঁ/না ভোটের ব্যালট পেপার
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ক্ষেত্রে দুটি ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পৌঁছেনি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গণভোট সংক্রান্ত আইন/অধ্যাদেশ জারির পর নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ আসার পর কর্মযজ্ঞ শুরু হতে পারে। অধ্যাদেশের আলোকে বিধিমালাও জারি করতে হবে, এ বিধিতে গণভোটের ব্যালট পেপার সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ থাকবে।











