কালিহাতী প্রতিনিধি : চাঁদা না দেওয়ায় টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রবাসী মুক্তার আলী স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী থানার আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। (মামলা নং-২৩৫, তাং- ২৪ মে ২০২১)
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কালিহাতী উপজেলার পালিমা সীমা গাছাপাড়ার মৃত ময়েন উদ্দিন মন্ডলের ছেলে বাদশা মিয়া (৬০); জয়নাল আবেদীনের ছেলে আনিছ মিয়া (৩০), ও স্বাধীন (২৫); মৃত ময়েন উদ্দিন মন্ডলের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৩), আলী চান (৫০) ও ফজল (৫৫); বাদশা মিয়ার স্ত্রী ফরিদা পারভীন (৫০); আলীচানের স্ত্রী বুলবুলি (৪৫); জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আন্না বেগন (৪৪); আনিছের স্ত্রী খালেদা (২৫); ফজলের স্ত্রী বেদেনা বেগম (৪৫)।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায় –
কালিহাতী উপজেলার পালিমা সীমা কাছাপাড়ার মুক্তার আলী দীর্ঘদিন যাবত সৌদী প্রবাসী।
তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (বিবাদী) ছেলেকে নিয়ে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু স্বামী বিদেশে গিয়ে অর্থ উপার্জন তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
মাজেদা বেগমের নিকট বিবাদীরা (স্বামীর ভাই, ভাতিজা ও আত্মীয়) ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিলেন।
চাহিদা মোতাবেক চাঁদা দিতে সম্মত না হওয়ায় ১নং বিবাদী বাদশা মিয়া বাদীকে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দেয়।
অন্যান্য বিবাদীরাও ১নং বিবাদীকে সমর্থন করিয়া চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেওয়ায় গত ২২ মে (শনিবার) সকালে বিবাদীগণ একত্রিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে গিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
চাঁদা দিতে পুনরায় অস্বীকার করায় বাদী মাজেদা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করতে থাকে।
এসময় বাদীর ছেলে মিলন এগিয়ে আসলে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় মাথায় দা দিয়ে কোপ মারে ৩নং বিবাদী স্বাধীন।
এসময় মিলন মাটিতে পরিয়া যাওয়ায় দায়ের কোপ তার ডান পায়ে লাগে এবং রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
ওই সময় বিবাদীরা বাদীর ঘরে গিয়ে আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালায় এবং ৪নং বিবাদী জয়নাল সুকেশের ড্রয়ারে থাকা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহণা লুটে নেয়।
পুনরায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে বাদী ও বাদীর ছেলেকে এলোপাথারী মারপিট ও বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে।
এসময় তারা গলা থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নিয়ে মা-ছেলেকে টেনে হেঁচরে বের করে দেয় বিবাদী স্বাধীন।
এরপর বাড়িতে রোপনকৃত ১০টি বনজ ও ফলজ গাচের চারা ভাংচুড় করে (৫ লক্ষ টাকা মূল্যের)।
বাদী মাজেদা বেগম জানান, বিবাদীগণ আমার বাড়ীতে লুটপাট, ভাঙচুর চালিয়ে নগদ, গহনা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এতে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বিবাদীদের দেয়া হত্যার হুমকির কারণে বাদী ও বাদীর ছেলে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।
ভয়ে স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার