কালিহাতীর বরেণ্য শিক্ষক শম্ভূনাথ আর্যের পরলোকগমন

প্রাক্তন শিক্ষক শম্ভূনাথ আর্যের পরলোকগমন

কালিহাতী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ী গ্রামের বরেণ্য শিক্ষক শম্ভূনাথ আর্য্য (৭০) মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি শনিবার ভোর ৫টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগতেছিলেন।

শম্ভুনাথ আর্য্য একজন শিক্ষক ও প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন। তিনি সাহিত্য ও আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা করতেন।

আরো পড়ুন – রহস্য উদঘাটনে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক

তিনি আঁকতেন ছবি এবং তাঁর সুন্দর হাতের লেখার জন্য তিনি সর্বদাই প্রশংসিত হয়েছেন।

এছাড়াও তাঁর অসংখ্য লেখা দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি সরকারি সা’দত কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে লেখাপড়া করেন।

এরপর সহকারী শিক্ষক হিসেবে জোয়াইর উচ্চ বিদ্যালয়, দেউপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং সর্বশেষ নারান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োজিত ছিলেন।

তিনি পলিমাটি সাহিত্য সংসদ, শতদল সাহিত্য সংসদ ও অনুপ্রাসসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

শম্ভূনাথ আর্য্যে মরদেহ ঢাকা থেকে সরাসরি তার সাবেক কর্মস্থল নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নেওয়া হলে সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলের নতুন জেলা প্রশাসক হচ্ছেন জসীম উদ্দিন হায়দার

এরপর লাশ নিজ বাড়িতে নেওয়া হলে তাকে একবার দেখার জন্য বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ ছুটে আসেন।

শম্ভূনাথের মৃত্যুতে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন এবং নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফাসহ অনেকে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

শনিবারে বিকেলে নিজ বাড়ির পারিবারিক শ্মশানে শম্ভূনাথ আর্য্যের শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার