কিডনির সংক্রমণ বা পাইলোনেফ্রাইটিস মূলত মূত্রনালিতে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি গুরুতর সমস্যা। সাধারণত সংক্রমণ মূত্রাশয় বা মূত্রনালিতে শুরু হয়, তবে তা কিডনিতে পৌঁছালে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। গবেষণা বলছে, ইউটিআইয়ের প্রতি ৩০টি সংক্রমণের মধ্যে একটি ক্ষেত্রে কিডনিতে সংক্রমণ দেখা যায়।
কিডনির সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে কোমরের পাশের ব্যথা অন্যতম। এই ব্যথা ধীরে ধীরে কুঁচকির দিকেও ছড়িয়ে যেতে পারে। অনেক সময় রোগীর জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, ক্লান্তি এবং বমি বমি ভাবও দেখা দেয়। প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা অনুভব, ঘন ঘন প্রস্রাব, গাঢ় রঙ বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব এবং কখনো রক্তযুক্ত প্রস্রাবও দেখা দিতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনির সংক্রমণ শনাক্ত করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়। তারা সাধারণত খেতে না চাওয়া, দুর্বল লাগা বা সামান্য জ্বরে ভোগে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে লক্ষণ কিছুটা আলাদা। বিভ্রান্তি, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বা মানসিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তনও এই সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
চিকিৎসা না করালে সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে সেপসিসের মতো জীবনহুমকির পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এতে রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া, অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া বা মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হয়।
প্রস্রাবের রং, গন্ধ বা পরিমাণে পরিবর্তন দেখা দিলে, কোমরের পাশের ব্যথা বা উচ্চ জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। শুরুতেই চিকিৎসা শুরু করলে এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তবে অবহেলা করলে জটিলতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।











