কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং কাশিপুর ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহেল বাকি খন্দকারসহ (৫৯) আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সহকারি পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মো. মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে তিনটি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহেল বাকি খন্দকার উপজেলার বড়লই গ্রামের মৃত আবুল হোসেন খন্দকারের ছেলে।
গ্রেপ্তার অন্য দুই নেতা হলেন, বড়ভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বড়ভিটা সেনের খামার গ্রামের কবিন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ছেলে প্রতাপ চক্রবর্তী (৪৭) এবং ফুলবাড়ী উপজেলা যুবলীগ নেতা, উপজেলার বোয়াইলভীড় গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ও বোয়াইলভীড় টেকনিক্যাল কলেজের প্রদর্শক জোয়ারদার আব্দুল খালেক (৪৪)।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বাকি খন্দকারসহ অন্যান্যরা দীর্ঘদিন আত্নগোপনে ছিলেন। শুক্রবার রাতে তারা এলাকায় ফিরেছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ৪ আগষ্ট ফুলবাড়ীতে ছাত্রজনতার মিছিলে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।