গোপালপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর এলাকায় বৈরাণ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে।
সে সময়ই অপরিকল্পিত ভাবে ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল নির্মাণ কাজে।
এর তিন বছর পরই মাথায় দুটি পিলার আগলা হয়ে যায়।
পরে আরো দু’টি পিলারের একই অবস্থা হয়। রেলিং ভেঙ্গে পড়ায় বাঁশ দিয়ে রেলিং তৈরী করা হয়।
সেতুর পিলারে কয়েক জায়গায় ফেটে যাওয়ায় কয়েক বছর আগেই কর্তৃপক্ষ এটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করেন।
সংস্কারের অভাবে সেতুটি অচলাবস্থায় পড়লেও প্রতিদিন এর উপর দিয়ে মানুষসহ যানবাহন পারাপার করে আসছিল।
নির্মাণকাজে ত্রুটি ও অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত সেতুটি তারপর থেকেই অতিরিক্ত চাপ সইতে না পেরে শুক্রবার (১১ জুন) সকালে এটি ভেঙে পড়ে।
পারাপারের জন্য নদীর উপর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নগদাশিমলা ও হাদিরা ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
তাদেরকে প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে থানাব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান।
পৌরমেয়র রকিবুল হক ছানা বলেন, এটি পুরোনো একটি ফুটব্রীজ ছিল। পাইলিং ছাড়া নির্মাণ করায় অতিবৃষ্টির কারণে সকালে এটি ভেঙ্গে পড়েছে।
পৌরসভায় তেইশ কোটি টাকার একটি বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে শুস্ক মৌসুমে এখানে বড় একটি সেতু নির্মাণ করা হবে।
এখন চলাচলের জন্য বড় আকারে একটি বাঁশের সেতু তৈরি করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার