কালিহাতী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নিহত গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্যর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বাংলাদশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামে উপস্থিত হয়ে নিহতের বাড়িতে এসে স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানানো শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় এই দাবি জানান।
সেইসাথে খুন হওয়ার কারণ উদঘাটন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও করেন তারা। এসময় এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, আমরা মনে করি এটি একটি ক্লিন মার্ডার। এটা বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ সবার।
এ মর্মান্তিক ঘটনার বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
অতি দ্রুত খুনের সঠিক কারণ বের করে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। নিহতের পরিবারকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা।
এসময় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডিএন চ্যাটার্জী; সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডল ও সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক কুমার পাল।
পড়ুন গোবিন্দ কিভাবে মারা গেল – কালিহাতী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতির লাশ উদ্ধার
আরো বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা; কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার; টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে; সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ গুণ ঝন্টু; স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার।
আরো যারা বক্তৃতা করেছেন- উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা: গণেশ চন্দ্র সাহা; সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সেন; ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পতিশ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক গোপীনাথ মোদক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নারান্দিয়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্য গত ১১ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে (১২ এপ্রিল) সকালে কালিহাতীর ধলাটেঙ্গর এলাকায় রেললাইরে পাশে থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গোবিন্দের সারা শরীরে আঘাত ও জখমের দাগ ছিল; এছাড়া নিহতের হাত-পা ভাঙ্গা ছিল। গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্য স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার