উদ্যোক্তা শরিফের প্রচেষ্টায় ঘাটাইলে কেঁচো কম্পোস্টের ব্যবহার বেড়েছে

ঘাটাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পোড়াবাড়িতে জৈব সার তৈরি করে কৃষকের মাঝে আশার সঞ্চার জাগিয়েছেন মো. ছানোয়ার হোসেন শরিফ।

সোনার বাংলা ট্রাইকো ডার্মা নামের প্রজেক্টে কম্পোস্ট সার তৈরি করে উপজেলার কৃষকের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলে দিয়েছেন উদ্যোক্ত শরিফ।

বিভিন্ন জৈব পদার্থ, চা পাতা, হাড়ের গুড়া, গোবর, নালি, চিনির গাদ, সয়াবিন ডাস্ট, ককো ডাস্ট, নিমপাতা, কচুরিপানা, সবজির উচ্ছিষ্ট ব্যবহার করা হয় এই কম্পোস্ট তৈরিতে।

কেঁচোর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এই জৈব সার উৎপাদন করা হয়।

এছাড়াও এই উদ্যোক্ত এলাকায় প্রায় ৪০ জন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন। তার প্রজেক্টে দৈনিক ৩০/৩৫ জন শ্রমিক কাজ করে চলেছেন।

উদ্যোক্তা শরিফ বলেন, বর্তমানে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে ফসল ফলিয়ে মানুষের দেহে সরাসরি বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

অপরদিকে, মাটি হারাচ্ছে তার ফসল উৎপাদন ক্ষমতা; আর এ সব রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত খাবার খেয়ে মানবদেহে নানাধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।

অথচ জৈব বা কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করলে ফসলের অঙ্কুরোদগম, শিকড়ের বর্ধন ও শিকরের অক্সিজেন চলাচল বৃদ্ধি করে, মাটির গঠন ও কাঠামো উন্নত করে পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, উদ্ভিদকে ঘন থেকে ঘনতর করে। ফলস হয় সতেজ, তরতাজা, আকারে বড় ও সম্পূর্ণ বিষমুক্ত।

তিনি বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় এই সারের ব্যবহার বাড়াতে কৃষকদের নিয়ে সভা, সেমিনার, উঠান বৈঠকসহ ব্যাপক প্রচারণা চলছে।

কৃষককে এই সারের গুণাগুণ ও ক্রমবর্ধমান ফসল ফলিয়ে তাদের ভেতরে আস্তা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

প্রথম দিকে শত শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে এই সার বিতরণ করেছি; তবে এখন লাভের মুখও দেখছি। আজ অনেকটা সফল হয়েছি।

কাজেই আমার অদম্য ইচ্ছা থেকেই এই পেশা বেছে নিয়েছি যাতে মরে গেলেও কৃষকের হৃদয়ে আমার জন্য সামান্য ভালবাসা থাকে। সম্পাদনা – অলক কুমার