গোপালপুর প্রতিনিধি : জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে প্রকাশ্যে ধুমপান করার ঘটনায় সমালোচিত হচ্ছেন গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী।
অবশেষে জেলা প্রশাসকের নিকট ক্ষমা চেয়ে তিনি বিষয়টির নিস্পত্তি করেন বলে জানা যায়।
একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ৩ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন কোভিড-১৯ এর গণ টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে পরামর্শমূলক জুম মিটিং ডাকেন।
ভার্সুয়াল মিটিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল, আগামী ৭ আগস্ট জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে গণ টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া।
জুম মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি।
পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডাক্তার এএফএম শাহাবুদ্দীন খানসহ সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মিটিং চলাকালে এক পর্যায়ে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজী সিগারেট জ্বালিয়ে টানতে থাকেন।
সিগারেটের ধোঁয়া এমন আয়েশী ভঙ্গীতে ফুঁকতে থাকেন; যা সবার নজরে আসে।
এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কে যেন ধুমপান করছেন; দয়া করে বন্ধ করুন।’
জুম মিটিংএ অংশগ্রহণকারীরা জানান, ডা. আলিম আল রাজী হয়তো সে সময় বেখেয়াল ছিলেন; তাই চুরুটের চুম্বক অংশ দুই আঙ্গুলে চেপে অঙ্গার হওয়ার আগ পর্যন্ত হুমাহুম টানতেই থাকেন।
ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে প্রকাশ্য ধুমপানের এমন দৃষ্টিকটু ঘটনায় সবাই হতবাক হয়ে যান; পরে জেলা প্রশাসকের নিকট অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ জুম মিটিং চলাকালে ধুমপানের এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছিল সত্যিই অস্বস্তিকর।
ঘটনার পর অনুতপ্ত হয়ে ডাঃ রাজী পরে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেল সোয়া তিনটায় ডাক্তার আলিম আল রাজীর সেলফোনে (০১৭১১৯০৪৬৮৪) যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে না জানার ভান করেন।
পরে জেলা প্রশাসক সাহেব সাংবাদিকদের কিছু বলেছেন কিনা উল্টো জানতে চান। শেষ পর্যায়ে তিনি জানান, জুম মিটিংয়ে ধুমপানের কোন ঘটনাই ঘটেনি। সম্পাদনা – অলক কুমার