গত কয়েক বছরে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগামী বছরগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা মনে করেন, অনিয়মিত জীবনযাপন, ওজন বৃদ্ধি এবং মানসিক চাপই এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ। তবে কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চললেই এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপায়:
-
সত্যিকারের ক্ষুধা পেলে তবেই খান:
খাবার শুরু করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, “আমি কি সত্যিই ক্ষুধা পেয়েছি?” মানসিক চাপ, একঘেয়েমি বা সঙ্গ দেওয়ার কারণে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। -
মদ্যপান এড়িয়ে চলুন:
মদ্যপান শরীরে ক্ষুধা বাড়ায় এবং অতিরিক্ত খাবারের প্রবণতা তৈরি করে। এটি ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। -
ক্যালরির প্রতি সচেতন থাকুন:
খাবারের ক্যালরি জানুন এবং দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন। উদাহরণস্বরূপ, ২৫০ ক্যালরির চকোলেট খেলে ৪২ বার সিঁড়ি উঠতে হবে সেটি খরচ করতে। -
খাবারের আগে পানি পান করুন:
প্রতিটি খাবারের আগে ১-২ গ্লাস পানি পান করলে পেট কিছুটা ভরে যায়, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং মেটাবলিজম উন্নত হয়। -
জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলুন:
প্রসেসড খাবারে থাকা ফাঁকা ক্যালরি ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট শরীরের ক্ষতি করে। হালকা হাঁটা বা স্ট্রেচিং করে ক্যালরি খরচ করুন। -
মেজাজ ও মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করুন:
খারাপ মেজাজে হাই-কার্ব খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। ফল, বাদাম বা দই খেয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প নিন। -
মানসিক চাপ কমান:
স্ট্রেস হরমোন ‘কর্টিসল’ বিপাকক্রিয়া ধীর করে এবং অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। প্রতিদিন মেডিটেশন বা হাঁটার অভ্যাস করুন।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি যতই বাড়ুক না কেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখলেই নিজেকে নিরাপদে রাখা সম্ভব। আজ থেকেই এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে “না” বলুন।