টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার স্বল্পমহেড়া-জামুর্কী দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কের বেহাল দশার কারণে তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তিতে পড়ছেন। স্বাধীনতার পরেও এই গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ হয়নি, যার কারণে বর্ষা মৌসুমে চলাচল অত্যন্ত কঠিন হয়ে ওঠে।
বৃটিশ আমলের আগে নির্মিত হলেও স্বাধীন বাংলাদেশে সড়কটি সংস্কার হয়নি। সড়কটি মির্জাপুর, বাসাইল ও দেলদুয়ার উপজেলার মানুষকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার (পিটিসি), জামুর্কী হাট, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে ব্যবহার হয়। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে কাঁদা ও জলাবদ্ধতার কারণে হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলতে হয়, শিক্ষার্থী ও কৃষকরা সমস্যায় পড়েন। স্বল্পমহেড়া ও জামুর্কী এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে।
মহেড়া জমিদার বাড়ি ঐতিহাসিক স্থাপত্য হিসেবে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। বিনোদন ও পিকনিক স্পট হলেও সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে দর্শনার্থীদের অনেককে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। স্থানীয়রা বারবার আশ্বাস পেলেও কোনো কার্যকর উন্নয়ন হয়নি।
ভ্যান চালক নরু মিয়া বলেন, “রাস্তা দিয়ে চলাচল খুব কষ্টকর, বিশেষ করে বর্ষার সময়। সময় ও অর্থের অতিরিক্ত ব্যয় হয়।” স্টার একাডেমি স্কুলের শিক্ষার্থী গাজী ফাহিম ও অহেদ বলেন, “বৃষ্টির সময় স্কুলে পৌঁছানো দায়। অন্য সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে ৫ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।” জামুর্কী নবাব স্যার আব্দুল গণি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাদেক আলী মিয়া বলেন, “শিশুদের পড়াশোনা, কৃষিকাজ ও ফসল আনা-নেওয়ায় সমস্যার শেষ নেই।”
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, স্বল্পমহেড়া-জামুর্কী দুই কিলোমিটার কাঁচা অংশ এলজিইডির আইডি ভুক্ত করা হয়েছে। ডিপিবি কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং শীঘ্রই রাস্তাটির পাকাকরণের কাজ বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যায়।