টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ওই নারীর নাম রেনু বেগম (৫৫)। তিনি মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মৃত এমারত হোসেনের স্ত্রী। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বৃহস্পতিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম।
জানা গেছে, রেনু বেগম গত শুক্রবার ঢাকায় বোনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেন। ঢাকা থেকে ফেরার খবরে রবিবার (২৬ এপ্রিল) তার বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা নমুনা সংগ্রহ করেন। সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে তার করোনা শনাক্তের বিষয়টি মির্জাপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ জানতে পারে।
মঙ্গলাবার (২৮ এপ্রিল) চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রেনু বেগমের মরদেহ ঢাকার আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী তার মরদেহ দাফনের দায়িত্ব নিয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এর আগে জেলার ঘাটাইলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মহিউদ্দিন (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই জেলা থেকে প্রথম তিনিই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। মহিউদ্দিনের বড় ভাই আব্দুস সালামের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান।
মহিউদ্দীন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউলী পশ্চিমপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
ডা. সাইফুর রহমান খান বলেন, ‘জেলার প্রথম মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি মহিউদ্দিন। তিনি আক্রান্ত হয়ে গাজীপুর থেকে পালিয়ে নিজ এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন তিনি।’
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ‘মহিউদ্দিন গাজীপুরের একটি কারখানায় কাজ করতেন। কাজের সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বাস করতেন। গাজীপুরে থাকাবস্থায় জ্বর-সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হলে ঢাকায় আইইডিসিআরে তার নমুনা পরীক্ষা করান। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে নিজ বাড়ি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউলী পশ্চিমপাড়া এসে মোবাইল বন্ধ রেখে দেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে খুঁজে বের করা হয়। এরপর মহিউদ্দিনকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।’