নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ভেঙে বিভিন্ন স্থানে আনন্দে মেতে ওঠেছে মানুষ।
বিশেষ করে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন থেকে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পার্ক, ব্রিজ এলাকা ও মুক্ত জলাশয় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। অধিকাংশের কারো মাঝেই ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এমন ঘোরাঘুরিতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এতটাই বাড়তে পারে যে, হাসপাতালে রোগীদের স্থান সংকুলান হবে না।
রীতিমতো বিনা চিকিৎসায় মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তারা বলছেন, এতে সংক্রমণের গতিরোধ করা বহুগুণ কঠিন হয়ে পড়বে।
কোভিড-১৯ উপেক্ষা করে ঘুরতে আসার কারণ জানতে চাইলে নানান অজুহাত দিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
অজুহাতের বড় একটি জায়গা দখল করে ছিল আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউন।
দর্শনার্থীদের দাবি, কঠোর লকডাউনের মধ্যে বাসা থেকে তারা বের হতে পারবেন না। তাই লকডাউনের আগে একটু ঘোরাফেরা করতে চাচ্ছেন তারা।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়া, কালিহাতী উপজেলার বঙ্গবন্ধুসেতু সংলগ্ন গড়িলাবাড়ি, যমুনার নিউ ধলেশ্বরীর মোহনায় বেলটিয়া, ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া-ধলাপাড়া সড়কে কাটাখালী, এলাসিনের শামছুল হক সেতু এলাকায় প্রচুর বিনোদন প্রেমীদের ঘোরাঘুরি লক্ষ্য করা গেছে।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এসব এলাকায় শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করছে। কেউ নৌকা ভাড়া করে, আবার কেউ তীরে বা সেতুর উপর দাঁড়িয়ে নদীর রূপ প্রত্যক্ষ করছে।
আর বাসাইলের বাসুলিয়া বিলে নৌকা নিয়ে উচ্চস্বরে গান ও মিউজিকের তালে তালে চলছে উদ্দ্যাম নৃত্য।
দেওপাড়া-ধলাপাড়া সড়কের কাটাখালীতে রীতিমত পসরা সাজিয়ে ২০ টাকার টিকিটের মাধ্যমে কফি হাউজে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্ব স্ব এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় করোনাকালেও চলছে এসব বিনোদন কেন্দ্র।
বিনোদনের নাম ব্যবহার করে ওই শ্রেণির ব্যক্তিরা পেতেছেন ব্যবসার ফাঁদ; যাতে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, কিছু এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি, এছাড়া কিছু অভিযোগও এসেছে।
আমি ইতিমধ্যে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সম্পাদনা – অলক কুমার