নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত গৃহবধু ফারজানা (২০)’র বাবা জাহাঙ্গীর আলম এই অভিযোগ করেছেন।
নিহতের পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছেন নিহতের স্বামীর পরিবার।
নিহত গৃহবধু নাগরপুরের গোপীনাথপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ফারজানা (২০)।
টাঙ্গাইল সদরের হাজরাঘাট এলাকায় স্বামী রনি মিয়া (২৩) এর ভাড়া বাসা এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত চার বছর আগে তার স্ত্রীর বোনের ছেলে রনির সাথে ফারজানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
কিন্তু তার মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় রনি তাকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।
চার বছর পর গত প্রায় দুইমাস আগে জাহাঙ্গীর আলম বিয়েটা মেনে নেন; আজ (০৪ ফেব্রুয়ারি) মেয়েকে বাড়িতে আনতে চেয়েছিলেন।
এসময় তিনি জানান, তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছেন। আমার মেয়ের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে আমাকে একটি এসএমএস পাঠায়; সেখানে সে লিখেছে, আমার মোবাইলে অনেক কিছু আছে, দেখলে সবই বুঝতে পারবা।
তিনি সেই মোবাইলটি উদ্ধার করে, তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানান।
নিহত ফারজানার চাচা বলেন, আমার ভাজিজি আমার সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করত; সে বিভিন্ন সময় বলেছে, তার শ্বাশুড়ি ও তার স্বামীর বোন তাকে নির্যাতন করত।
এই ঘটনায় ফারজানার শ্বশুর জামাত আলী বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। রনি কোথায়? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জানি না।
ঘটনা সম্পর্কে টাঙ্গাইল সদর থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল লিটন বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে। লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার