সারাদেশে মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সবাইকে যখন ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, ঠিক তখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসরা। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভুলে দেশের হাসপাতালগুলোতে তারা দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সেবা। তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা রোগীরাও। আর তাই এই সকল চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ও তাদের নিকট হতে সেবা পাওয়া নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী সকল সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) তুলে দিচ্ছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ইলেকট্রনিক গ্রুপ ওয়ালটন।
এর অংশ হিসেবে রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত তিন শতাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর জন্য পিপিই দেয় ওয়ালটন। হাসপাতালের ৪৯৯ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
হাসপাতালের পরিচালক (ডিডি) ডা. সদর উদ্দিন ও এমও ডা. মনিরা পারভীনের হাতে ওয়ালটনের এই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ তুলে দেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আনসারী, ওয়ালটন গ্রুপের উপ-পরিচালক অনুপ কুমার সাহা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফজলুর রহমান প্রমুখ। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও জেলার আরও ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১৭টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে আরও ১৯৯ টি পিপিই তুলে দেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।
এর মধ্যে, গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০টি, কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪টি, ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭টি, নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪টি, ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪টি, ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩টি, সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩টি, মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮টি, শহরের ধলেশ্বরী হাসপাতালে ৪টি, ব্যুরো বাংলাদেশ হাসপাতালে ৮টি ও সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের চিকিৎসকদের মাঝে ১টি করে পিপিই দেয়া হয়।