করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আগেই টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৬৫০টি সনাক্তকরণ কিট সরবরাহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এ কিট সরবরাহ করা হয়।
কিট সরবরাহের পর প্রথম দিনই করোনার উপসর্গ নিয়ে মর্জিনা (৪০), সাহেরা (৬৫) ও হারাধন পাল (৬৫) হাসপাতালে আসেন। তাদের টেস্টের ফল নেগেটিভ আসে। তবে গত ৪৮ ঘণ্টায় আর কোনো পরীক্ষা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে কিট না থাকায় তাদের টাঙ্গাইল জেলা সদরে যেতে হচ্ছে।
নাগরপুরের কয়েকজন রোগী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কিট না পেয়ে ৩০ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইল শহরের হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাদের। নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, কিট না থাকায় প্রতিদিনই রোগীদের জেলা সদরে পাঠানো হচ্ছে।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল কুদ্দুস জানান, হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখনো নতুন ভেরিয়েন্টের কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন এফএম মাহবুবুল আলম বলেন, জেলার জনসংখ্যার অনুপাতে ১৯ হাজার ৫০০ কিটের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৬৫০টি কিট পাওয়া গেছে। উপজেলাগুলোতে কিট এখনো পাঠানো হয়নি, তাই উপসর্গ থাকা রোগীদের জেলা সদরে টেস্ট করতে বলা হচ্ছে।