নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকে গেছে মোবাইল ভিডিও গেমস ফ্রি ফায়ার ও পাবজিতে।
করোনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অলস সময়ে এ গেমসে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই আসক্তি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এই আসক্তি নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। উদ্বিগ্ন সন্তানদের মানসিক ও শারিরিক সুস্থতা নিয়ে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা দিন দিন ফ্রি ফায়ার ও নামক গেমের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে।
যে সময় তাদের ব্যস্ত থাকার কথা নিয়মিত পড়ালেখা ও খেলার মাঠে ক্রীড়া চর্চার মধ্যে, সেসময় মোবাইল গেমসের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে।
৭ বছর থেকে ২২ বছরের উঠতি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে এসব গেইমে আসক্ত হচ্ছেন।
এসব বিদেশী গেম থেকে শিক্ষার্থী বা তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফায়ার গেমসে অনুরাগী নিশাদ জানান, প্রথমে তার কাছে ফ্রি ফায়ার গেমস ভাল লাগত না।
বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন সে আসক্ত হয়ে গেছেন। এখন গেমস না খেলতে পারলে খারাপ লাগে বলে জানান তিনি।
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রবিন জানায়, তিনি পূর্বে গেমস সম্পর্কে কিছু জানতেন না।
এখন নিয়মিত ফ্রি ফায়ার গেমস খেলেন তিনি।
মাঝে মধ্যে গেমস খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার ইচ্ছাও হয় তার।
তিনি আরো বলেন, ফ্রি ফায়ার গেমস যে একবার খেলবে সে আর ছাড়তে পারবে না বলে দাবি করেন তিনি।
এবিষয়ে সদ্য এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী আদিত্য বলে, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পর করোনার প্রভাব বেড়ে গেলে পাবজি গেমস খেলা শুরু করি।
আবার পড়াশোনা শুরু হলেই এই গেমস খেলব না।
পাবজি গেমসে অনেকের প্রচুর আসক্তি আছে বলেও স্বীকার করেন এই শিক্ষার্থী খেলোয়াড়।
ফ্রি ফায়ার নামক গেমসকে মাদকদ্রব্যর নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেন বেশ কয়েকজন সমাজসেবক।
তারা বলেন, আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি প্রশাসনসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, আমাদের সময় অবসর মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করতাম।
কিন্তু এখনকার যুগে প্রজন্ম সন্তানদেরকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
জেলার গ্রাম-গঞ্জে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রুপ গেমস মহামারী আকার ধারণ করেছে।
শিক্ষার্থীরা অনেকে পড়ার টেবিল ছেড়ে খেলছে মোবাইল গেমস খেলছে।
এতে একদিকে তাদের ভবিষ্যৎ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।
তাই কিশোর-কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবারই খেয়াল রাখতে হবে।
যেন তারা মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে।
পাশাপাশি প্রতিটি সন্তানকে একটু যত্ন সহকারে খেয়াল রাখার দায়িত্ব বা কর্তব্য বলে মনে করেন তিনি।
সম্পাদনা – অলক কুমার