ভূঞাপুরে উঠানে সবজি চাষে ফিরছে পুষ্টি ও স্বাবলম্বীতা

ভূঞাপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাড়ির উঠানে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদাপূরণ করে উদ্বৃত্ত সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করছে চাষীরা।

ফলে বাড়ির উঠানের খালি জায়গায় সবজি চাষে ঝুঁকছে চাষীরা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উপলক্ষে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এতে উপজেলার ১৯২টি বাড়ির উঠানে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ শুরু করা হয়।

এরজন্য প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ হাজার ৯৩৫ টাকা ও বিনামূল্যে বীজ দেয়া হয়।

এক শতাংশ জমিতে কৃষক লাল শাক, মুলা, কলমি, পাট, পুইশাক ও ঘিমা কলমি শাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করছে।

ইতোমধ্যে কৃষক উৎপাদিত সবজি নিজেদের পুষ্টির চাহিদা পূরন করে সেগুলো স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।

উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা গোপাল গ্রামের কৃষক রাজু আহমেদ বলেন, বাড়ির উঠানে পরিত্যক্ত জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছি।

নিজেরা খাওয়ার পরও বাড়তি সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছি।

গত মাসখানেকের মধ্যে সবজি বাজারে বিক্রি করে ৩/৪ হাজার টাকা আয় হয়েছে।

ভারই গ্রামের ফরহাদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বাড়ির উঠানে সবজি বাগান করার জন্য কৃষি অফিস থেকে নগদ টাকাসহ সবজি বীজ দেয়া হয়েছিল।

বর্তমানে সবজি নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করছি।

এটা দেখে গ্রামের অনেকেই বাড়ির উঠানে বা আশপাশের পরিত্যক্ত জায়গায় সবজি চাষে ঝুঁকছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এসএম রাশেদুল হাসান বলেন, কৃষকের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণসহ সেগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে উপার্জনের জন্য পারিবারিক পুষ্টি বাগানের উদ্যোগ নেয়া হয়।

উপজেলায় ১৯২টি বাড়ির উঠানে সবজি চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে নগদ টাকাসহ সবজি বীজ দেয়া হয়েছিল তাদের।

কৃষকের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা যেমন পুরণ হচ্ছে তেমনি বাড়তি সবজিগুলো হাট-বাজারে বিক্রি করে আয় করছে তারা।