নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল সৌখিন মৎস্য শিকারী সমিতি প্রতিবছরই আয়োজন করে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা।
ওই প্রতিযোগিতায় টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৎস্য শিকারীরা অংশ নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শুক্রবার (২৮ জুন) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা।
জানা যায়, পরিত্যক্ত জলাশয়টিকে লিজ নিয়ে কয়েকজন সৌখিন মৎস্য শিকারী মাছ চাষ শুরু করেন ১৯৮২ সালে।
আরো পড়ুন – বাসাইলে সরকারি জমি থেকে আ.লীগ নেতাকে উচ্ছেদ
পরের বছর শুষ্ক মৌসুমে সেখানে জল কমে গেলে তারা সেটিকে খনন করেন এবং আরো মাছ ছাড়েন।
এরমধ্যে প্রায় দুই বছর চলে গেছে। মাছও বেশ বড় হয়েছে।
তারপরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো বড়শি দিয়ে মাছ শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতার আগে তারা সৌখিন মৎস্য শিকারী সমিতি প্রতিষ্ঠিত করেন এবং সেই সমিতির সভাপতি করা হয় তৎকালীন জেলা প্রশাসক।
আর সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছিলো শহরের ব্যাপারী পাড়া নিবাসী ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আলী আশরাফকে।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় ৪০ বছর যাবত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯১ জন মাছ শিকারী অংশ নিয়েছেন।
এছাড়াও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসন ও সুশীল সমাজের জন্য ২২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তর মৎস্য প্রতিযোগিতা এটি।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ৮ লাখ টাকা, ২য় ৪ লাখ টাকা যথাক্রমে তিন লাখ, দেড় লাখ, এক লাখ, ৮০ হাজার, ৭০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড পুরস্কার দেওয়া হয়।
এই প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ১৩টি পুরস্কার দেয়া হয়।
আরো পড়ুন – কালিহাতী সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
সর্বনিম্ন পুরস্কার ৭০ হাজার টাকা আর সর্বোচ্চ পুরস্কার আট লক্ষ টাকার প্রাইজবন্ড।
পুরস্কার বিতরণ করেন সৌখিন মৎস্য শিকারী সমিতির সভাপতি ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়সারুল ইসলাম।
প্রতিযোগিতায় ৯ কেজি ৮০০ গ্রামের মাছ ধরে বিজয়ী হয়েছেন কক্সবাজারের শোয়েব চৌধুরী এবং ফেনী জেলার মহিপাল উপজেলার বাবু চৌধুরী ৮ কেজি ৫০০ গ্রামের মাছ ধরে হয়েছেন দ্বিতীয়।
যারা যারা উপস্থিত ছিলেন –
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, জেলা মৎস্য শিকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন টাঙ্গাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ।