টাঙ্গাইলে ৯৯.৪৪% শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবছর ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইনে টাঙ্গাইলে ৯৯.৪৪% শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছ।

এবছর টাঙ্গাইলে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৮শ’ শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়।

লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এবছর ৫ লক্ষ আট হাজার ২৯ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

এতে এবছর ৯৯.৪৪% শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো গেছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ১১ মাস পর্যন্ত বয়সী ৫৪ হাজার ৮০০ শিশুকে একটি করে নীল রংয়ের (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত ৪ লাখ ৬২ হাজার একটি করে লাল রংয়ের (২ লক্ষ আই.ইউ) ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়।

সেক্ষেত্রে নীল ক্যাপসুল অর্থাৎ ৬ মাস থেকে ১১ মাস পর্যন্ত বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে।

নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে ৫৭ হাজার সাতশ’ ৪৫ শিশুকে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার নয়শ’ ৪৫টি বেশি।

অন্যদিকে, ১২ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত বয়সী ৪ লাখ ৬২ হাজার শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল।

সেখানে চার লক্ষ ৫০ হাজার দুইশ’ ৮৪ শিশুকে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো গেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ হাজার সাতশ’ ১৬টি কম।

এবিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান খবরবাংলা’কে মুঠোফোনে বলেন, প্রথমদিকে আমাদের অর্জন ভাল ছিল।

আমার বিশ্বাস ছিল শতভাগ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবো।

নীল ক্যাপসুলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও লাল ক্যাপসুলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

তবে যে বাচ্চাগুলো বাকি আছে তাদের ইপিআই প্রোগ্রামের সময় অবশ্যই খাওয়ানো হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার