বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বন বিভাগের আওতাধীন বাঁশতৈল রেঞ্জ। এই রেঞ্জের অধীনে রয়েছে ৬টি বিট অফিস।
তারই একটি হলো বংশীনগর বিট। এই বিটের দায়িত্বে আছেন একজন বন প্রহরী। ভারপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর এই দায়িত্ব পেয়েই মাত্র এক বছরে তিনি কোটিপতি হয়ে গেছেন।
জানা গেছে, বনের মধ্যে টাকার বিনিময়ে গাছ কেটে ঘর তৈরি করতে দেয়া; ঘর তৈরি পর মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা; টাকা খেয়েও মামলা দেয়া; জেল খাটানো; প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানো; টাকার বিনিময়ে অপরাধীকে বাদ দিয়ে নিরাপরাধীকে আসামি করে মামলা দেয়া।
এছাড়াও রাতের অন্ধকারে গজারী গাছ বিক্রি; বনের ভিতরে বেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রিতে সহযোগিতা; টাকার বিনিময়ে বনের মধ্যে করাতকল স্থাপনের অনুমতি; বাগানের প্লট বরাদ্দের জন্য ঘুষ নেয়া; এক প্লটকে একাধিক প্লট করে নতুন প্লট গ্রহীতাদের কাছ থেকে মোট অংকের ঘুষ গ্রহণ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন এই বন প্রহরী থেকে ভারপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা।
বংশীনগর বিটটি গাবগাছিয়া চালা, বংশীনগর, হলদির চালা, আউশাচালা, দিঘিবাড়ী, কাইতলা, উত্তর পেকুয়া, তক্তারচালা, ঘেচুয়া, জিনিয়া, গবরাচালা, উত্তর আমের চালা এলাকা নিয়ে নিয়ে বিট।
আর এই বংশীনগর বিটের ভারপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন বন প্রহরী রমিউজ্জামান।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাত্র এক বছরেই তিনি এই এলাকার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে, মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে, জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে আদায় করছে টাকা।
তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, গাছ চোরদের সাথে যোগসাজশে রাতের আধারে গজারী গাছ কেটে বিক্রি করেন।
সরেজমিনে বংশীনগর বিটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কথা হয় অন্তত একশ’ জন ভুক্তভোগীর সাথে। অভিযোগের অন্ত নাই তাদের।
এলাকার ভূক্তভোগী ও বয়োবৃদ্ধরা বলেন, তার মতো দুর্নীতিবাজ, এই বিট হওয়ার পর দেখি নাই।
এবিষয়ে অশীতিপর নজরুল বলেন, এই রকম অসৎ ও খারাপ লোক আমার বয়সে দেখি নাই। এতো টাকার লোভ কোন মানুষের থাকতে বলে দেখি নাই।
তবে এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে বার বনপ্রহরী কাম বিট অফিসার রমিউজ্জামান সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
এসময় উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, যা পারেন করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার