ধনবাড়ী সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজের পুরাতন গাছ টেন্ডার ছাড়াই অনিয়মের মাধ্যমে কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
এরআগে গাছ কর্তন ও বিক্রির জন্য টেন্ডার বা কোন মিটিং ও রেজুলেশন করা হয়নি।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঈদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আখতারুজ্জামান কলেজের দূর্যোগ ভবনের সামনে থাকা পুরাতন একাশি প্রজাতির গাছটি কেটে বিক্রি করেন।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
কাটা গাছের খন্ড খন্ড গুড়িগুলো স্থানীয় একটি স-মিলে রাখা হয়েছে আসবাবপত্র তৈরি করা জন্য।
এরআগে সোমবার কয়েকজন শ্রমিক বিশাল গাছটি কেটে ফেলেন। কাটার পর গাছের গোড়ায় বালু ফেলা হয় যাতে বুঝা না যায়।
জানা গেছে, সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব জায়গার গাছ ঝড়ে পড়া বা গাছ কাটার প্রয়োজন হলে নিলামে বা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন।
এছাড়া বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিন যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেয়া হয়।
কিন্তু এসবের কোন তোয়াক্কা করেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান।
শ্রমিকরা জানান, কলেজের প্রিন্সিপাল স্যার গাছটি কাটার জন্য বলেছে। পরে গাছটি কেটে খন্ড খন্ড গুড়িগুলো স-মিলে দেয়া হবে। এরপর সেগুলো দিয়ে কি করবে জানিনা।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে কলেজের শিক্ষকরা জানান, গাছ কাটার বিষয়ে কোন মিটিং বা টেন্ডার হওয়ার খবর জানা নেই।
কলেজ বন্ধ তাই কোন শিক্ষক কলেজে না যাওয়ার সুযোগে তিনি গাছটি কেটেছেন।
আরো পড়ুন – ভূঞাপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ; ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেয়ার অভিযোগ; সহযোগী আটক
ধনবাড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, গাছটি মরে যাওয়ার কারণে গতকাল কলেজের পিয়ন সেটি কেটে স-মিলে পাঠিয়েছে।
আমাকে না জানিয়ে সে গাছটি কেটেছে। এজন্য কোন অনুমতি বা প্রশাসনকে জানানো হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধনবাড়ি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মো. আসলাম হোসাইন বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
তদন্ত করে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার