ঠোঁটের চারপাশে কালচে ছোপ পড়া স্বাভাবিক সমস্যা হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় মেলাসমা বা পিগমেন্টেশন। বয়স, হরমোনের পরিবর্তন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এবং অন্যান্য শারীরিক কারণ এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে হরমোনের হেরফেরের কারণে গর্ভবতী বা নতুন মায়েরাও এই সমস্যার শিকার হতে পারেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, সানস্ক্রিন ব্যবহার ছাড়া পিগমেন্টেশন রোধ করা সম্ভব নয়। তবে সানবার্ন বা ট্যানের সঙ্গে মেলাসমা ভিন্ন সমস্যা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেকোনো বয়সের মানুষ ত্বকের পিগমেন্টেশনের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
রূপচর্চা বিশেষজ্ঞদের মতে, রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে পিগমেন্টেশন কমানো সম্ভব।
ঘরোয়া ও কার্যকরী উপায়সমূহ: অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: সমান পরিমাণে পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে তুলো দিয়ে কালচে অংশে লাগাতে হবে। দুই-তিন মিনিট পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালোভেরা: রাতের ঘুমের আগে প্রাকৃতিক অ্যালোভেরার জেল পিগমেন্টেশনের উপর লাগিয়ে রাখুন। পরদিন হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পাতিলেবুর রস: লেবুর প্রাকৃতিক এসিড ত্বকের কালচে ছোপ হালকা করতে সাহায্য করে। পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো।
আলুর রস: প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে আলুর রস কালচে দাগ কমাতে কার্যকর। স্পর্শকাতর ত্বকে কোনো সমস্যা হয় না।
পাকা পেঁপে: ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ পেঁপে ত্বকের কালচে দাগ কমাতে সহায়তা করে। সপ্তাহে দুই-তিন দিন পেঁপে চটকে মুখে মেখে দেখুন, মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফল পাওয়া যাবে।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা হলো, সরাসরি এসিড জাতীয় উপাদান ত্বকে ব্যবহার করলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা সর্বোত্তম।











