একসময় হাঁটুর ব্যথা মূলত বয়স্কদের সমস্যা হলেও, এখন ৩০-৪০ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যেও এই সমস্যা দ্রুত বেড়েছে। গবেষণা বলছে, হাঁটুর ক্ষয় ও ব্যথা এখন তরুণদের মধ্যেও উদ্বেগজনক হারে দেখা যাচ্ছে।
সমস্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ
বিশেষজ্ঞরা মূলত দুইটি বিষয়কে দায়ী করছেন:
-
স্থূলতা: অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের অভাব এবং দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে ওজন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ওজন হাঁটুর ওপর চাপ বৃদ্ধি করে এবং তরুণাস্থি ক্ষয়ে সহায়ক হয়।
-
খেলাধুলাজনিত আঘাত: উচ্চ-তীব্রতার খেলাধুলা বা ওয়ার্কআউট হাঁটুতে আঘাত সৃষ্টি করতে পারে। এসব আঘাত পরবর্তী সময়ে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে রূপ নিতে পারে।
গবেষণার চমকপ্রদ ফলাফল
‘অস্টিওআর্থ্রাইটিস অ্যান্ড কার্টিলেজ’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ বছরের কম বয়সীদের অর্ধেকের বেশি মানুষের জয়েন্টে ক্ষয়ের প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে। ফিনল্যান্ডের একটি গবেষণায় ৫০%-এরও বেশি অংশগ্রহণকারীর হাঁটুর তরুণাস্থিতে হালকা ক্ষয় এবং এক-চতুর্থাংশের জয়েন্টে জটিলতা পাওয়া গেছে।
প্রতিরোধে করণীয়
-
ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্বাস্থ্যকর ওজন হাঁটুর চাপ কমায়।
-
ব্যায়াম: কোয়াডস ও হ্যামস্ট্রিং পেশি শক্তিশালী করতে ব্যায়াম করুন।
-
দীর্ঘ সময় বসে থাকা এড়িয়ে চলুন: প্রতি ঘণ্টায় ছোট বিরতি নিন, হাঁটুন ও স্ট্রেচ করুন।
-
সঠিক জুতা ও চিকিৎসা: ভালো মানের জুতা এবং প্রয়োজন হলে ফিজিওথেরাপি হাঁটুর ক্ষয় রোধে সহায়ক।
হাঁটুর সমস্যা এখন আর শুধু বয়স্কদের নয়। তরুণ বয়সেই যথাযথ যত্ন না নিলে ভবিষ্যতে এটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। তাই এখন থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি।