জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য তিন মাস বন্ধ থাকার পর সুন্দরবন সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়েছে। সকাল থেকে বনজীবীরা প্রবেশ শুরু করেছেন, আর পর্যটকদের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ট্যুরিস্ট গাইডরা।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ জানায়, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে বনজীবীদের এবং পর্যটকদের সব ধরনের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। গত বছর সুন্দরবনে মোট ৭০ হাজারের বেশি বনজীবী প্রবেশ করেছিলেন। এর মধ্যে দেশি পর্যটক ছিলেন ৪৫,১৩৮ জন, বিদেশি পর্যটক ৭০ জন এবং তীর্থযাত্রী ৪০১ জন। এর মাধ্যমে বন বিভাগের রাজস্ব আয় হয়েছিল ২৭ লাখ টাকা।
উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বনজীবীরা ইতোমধ্যেই জাল, দড়ি ও নৌকা প্রস্তুত করেছেন। অনুমতিপত্র পেলেই তারা মাছ ও কাকড়া ধরতে সুন্দরবনে প্রবেশ করবেন।
গাবুরা ইউনিয়নের বনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, “গত তিন মাস খুব কষ্টে কেটেছে। সুন্দরবন বন্ধ থাকলে আয়-রোজগারের পথও বন্ধ থাকে। সুন্দরবন উন্মুক্ত হওয়ায় আমরা সবাই খুশি।”
পর্যটক নিরাপত্তার বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো অসুবিধা হলে সবাইকে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফজলুল হক জানান, বনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া রেঞ্জ এলাকার পর্যটন স্পটগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বন বিভাগ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি এবং স্মার্ট টিম তৎপর থাকবে।