নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় শুধু সচেতনতা আর ত্রাণ সহায়তা নয়, এখন কৃষক বাঁচাতে করোনায় কর্মহীনদের ত্রাণের তালিকায় যোগ করলেন সবজিও। এখন থেকে পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি ত্রানের সাথে বিতরণ করা হবে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত সবজি চাষিদের পাশেও দাঁড়াতে হবে এই ভাবনা থেকে চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (০৫ মে) টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার নিরাপদ সবজিগ্রাম বঙ্গবঙ্গটিয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক মো. সেলিম রেজার কাছ থেকে মিষ্টি কুমড়া ক্রয়কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে হাট-বাজার বন্ধ থাকায় কৃষকদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে না পেরে কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং তারা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পান সে কারনেই পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি ত্রানের সাথে বিতরণ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে নিরাপদ সবজি ক্রয়ের মাধ্যমে ত্রানের সাথে এসব সবজি বিতরণ করা হবে। এখন থেকে করোনার প্রভাবে অসহায় পরিবারগুলো চালের পাশাপাশি খাবার জন্য সবজিও পাবেন।
এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস, কৃষি স¤প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন শাকিল, উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভিন্নধর্মী এই উদ্যোগে কৃষক এবং ত্রাণগ্রহীতা উভয়ই লাভবান হবেন জানিয়ে উপজেলার কৃষি সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনরা বলছেন, উপজেলায় চলতি মৌসুমে সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে কৃষকরা সবজির নায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাই চাষীদের বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষকদের বাঁচানোর স্বার্থে মানবিক খাদ্য সহায়তার তালিকায় কয়েকটি সবজি যুক্ত করায় কৃষকরা তাদের সবজির নায্যমূল্যটা পাবেন।
উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তারা বলেন, সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে এই সব কৃষক ভাইদের। কারণ কৃষক বাঁচলেই আমরা বাঁচবো। সারা উপজেলাজুড়ে সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করছে তারা যদি কৃষকের উৎপাদিত সবজিগুলো কিনে নিয়ে ত্রানের তালিকায় যোগ করে তাহলে কৃষকরা করোনার এই ক্রান্তিকালে লোকসানে পড়বে না।